বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতীক
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতীক
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড রেসিং স্ট্রাইপ
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড রেসিং স্ট্রাইপ
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পতাকা
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পতাকা
নীতিবাক্যসমুদ্রের রক্ষক
সংস্থা পরিদর্শন
প্রতিষ্ঠাকাল১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫; ৩০ বছর আগে (1995-02-14)
কর্মচারী৩,৩৩৯ জন কর্মী
বার্ষিক বাজেট১,০২৬ কোটি (২০২৩-২০২৪)
অঞ্চল কাঠামো
জাতীয় সংস্থাবাংলাদেশ
পরিচালনার অঞ্চল বাংলাদেশ
পরিচালনা পর্ষদবাংলাদেশ সরকার
গঠন উপকরণসমূহ
  • কোস্ট গার্ড আইন, ১৯৯৪
  • কোস্ট গার্ড আইন, ২০১৬ (২০১৬ সালের আইন নং ৯).[]
বিশেষজ্ঞ অধিকারভুক্ত অঞ্চল
  • উপকূলীয় টহল, সামুদ্রিক সীমান্ত সুরক্ষা, সামুদ্রিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার।
পরিচালনামূলক কাঠামো
প্রধান কার্যালয়আগারগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ
দায়বদ্ধ মহাপরিচালক
  • রিয়ার অ্যাডমিরাল মোঃ জিয়াউল হক, ওএসপি, এএফডব্লিউসি, এনডিসি, পিএসসি
মাতৃ-সংস্থাস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ফাংশন
  • সামুদ্রিক সীমান্ত সুরক্ষা
  • চোরাচালান বিরোধী অভিযান
  • প্রয়োগ অভিযান
  • সামুদ্রিক অপারেশন
  • ট্যারিফ সংগ্রহ
সুবিধা-সুযোগ
নৌকা২৫৭ জাহাজ
উল্লেখযোগ্যতা
বার্ষিকী
  • ১৪ ফেব্রুয়ারী
ওয়েবসাইট
coastguard.gov.bd

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে নিয়োজিত একটি আধা-সামরিক বাহিনী। এই সংস্থা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিবিধ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে উপকূল অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিধান এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে। এই আধাসামরিক বাহিনীটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ।[] এর কর্মকর্তাগণ ও কর্মচারীগণ বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে স্থানান্তরিত হয়ে আসেন। এর সদরদপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। বর্তমানে এই বাহিনীতে ৩,৩৩৯ জন উপকূল রক্ষী নিয়োজিত আছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে নৌ বাহিনী অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোস্ট গার্ডের ভূমিকা পালন করত। এতে তার নিজেস্ব কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতো এবং কিছু আইনি সমস্যা সৃষ্টি হতো। এই সমস্যা নিরসনের জন্য সরকার একটি কোস্ট গার্ড গঠনের জন্য সংসদে আইন পাশ করে যা কোস্ট গার্ড এ্যাক্ট ১৯৯৪ নামে পরিচিত। আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গঠিত হয় এবং ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর থেকে নৌ বাহিনী হতে ধার নেয়া দুটি টহল জাহাজের সমন্বয়ে তার কর্মকাণ্ড শুরু করে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড একটি সদর দফতরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সংস্থার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ইস্ট জোন (চট্টগ্রাম), ওয়েস্ট জোন (বাগেরহাট), সাউথ জোন (ভোলা) এবং নর্থ জোন (ঢাকা)।[]

কোস্ট গার্ডের প্রধান হলেন ডিরেক্টর জেনারেল বা মহাপরিচালক। এই বাহিনীর বর্তমান মহাপরিচালক হলেন রিয়ার এডমিরাল মোঃ জিয়াউল হক, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি।[]

দায়িত্ব ও কর্তব্য

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের সামুদ্রিক তটরেখার শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে কর্মরত আছে।

জলযান সমূহ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Coast Guard Act, 2016"। 2016-এর আইন নং. 9 
  2. "Chapter 6: Asia"। The Military Balance (ইংরেজি ভাষায়) (2015 সংস্করণ)। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। পৃষ্ঠা 229–231। আইএসবিএন 9781857436426। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  4. "কোস্ট গার্ডের নতুন মহাপরিচালক আশরাফুল হক চৌধুরী"। দ্য ডেইলি স্টার বাংলা। ২৫ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]