উমরপুর ইউনিয়ন
উমরপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে উমরপুর ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৩′১৯.৯৯৯″ উত্তর ৯১°৪১′৩০.০০১″ পূর্ব / ২৪.৭২২২২১৯৪° উত্তর ৯১.৬৯১৬৬৬৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
উপজেলা | ওসমানীনগর উপজেলা ![]() |
আয়তন | |
• মোট | ৩,১৭৬ হেক্টর (৭,৮৪৯ একর) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২৪,১২২ |
• জনঘনত্ব | ৭৬০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯১ ০৮ ৫১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
উমরপুর ইউনিয়ন সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]উমরপুর ইউনিয়নের আয়তন ৭৮৪৭ একর (৩১.৭৬ বর্গ কিলোমিটার)। এই ইউনিয়নে ২৮৭০ টি পরিবার বাস করে।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]বাংলাদেশর ১৯৯১ আদমশুমারি অনুযায়ী উমরপুর ইউনিয়নের জনসংখ্যা ১৮,৮৮৬ জন।[১] এর মধ্যে মহিলা ৫১%, এবং পুরুষ ৪৯%।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৩০৩ খ্রীষ্টাব্দের শ্রীহট্টের মুসলিম বিজয়ের বাদে, শাহ জালালের একজন শাগরেদ, শাহ জলালউদ্দীন, এই এলাকায় (কুরুয়া পরগনা) হেজরৎ করেছিলেন। শাহ জলালউদ্দীন সাহেব খুজগীপুরে বসবাস করেছিলেন যেখানে এক ব্রাহ্মণ লোকের খঞ্জ মেয়েকে চিকিৎসা করে বিয়ে করেন। তাঁর মাজার ও বংশধরেরা এখনও খুজগীপুরে। এছাড়াও পাটনা শহর থেকে সৈয়দ কামালউদ্দীন আহমদ বড় ইসবপুরে বসবাস করেছিলেন। শুধুমাত্র এক দামড়ী নিয়ে নিজ শহর থেকে সফর শুরু করার জন্য তাঁকে "শাহদামড়ী" বা "দামড়ী পীর" নামে পরিচিতি করা হয়েছিল। তিনি শাহ জালালের অন্যতম শাগরেদ জগন্নাথপুরের শেখ কালুর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। দামড়ী পীরের দুই ভাই ছিলেন, সৈয়দ শাহ সোবহানউদ্দীন ও সৈয়দ শাহ বদর আলম। সোবহানউদ্দীনের মাজার ও বংশধরেরা দুলালি পরগনার ইসবপুরে। বদর আলমের মাজার ও বংশধরেরা পীরেরগাঁও থাকেন। ভেদসার পুঁথির লেখক সৈয়দ শাহ হোসেন আলম তাঁদের কুটুম।[২][৩] তাছাড়াও এই এলাকায় শাহ মোল্লা মোবারক ধন্য করেছিলেন। উনার নামে মোল্লাপাড়ার নামকরণ করা হয়, এবং এই মোল্লাপাড়ায় তাঁর মাজার অবস্থিত। খাদিমপুরের পূর্বপাড়ায় আছে শেখ ইঊনুস শাহের মাজার।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পাঁচজন এই এলাকার লোক ছিলেনঃ মহম্মদ ময়না মিঞা, মহম্মদ আফসর মিঞা, মহম্মদ সোনাফর আলী, মহম্মদ রফীক আলী এবং মহম্মদ মফসসিল আলী।[৪] ২০০৭ থেকে ২০০৮ এর মধ্যে উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন তৈরী করা হয়েছিল।
গ্রাম এবং মৌজা
[সম্পাদনা]উমরপুর ইউনিয়নে ৪৩ টি গ্রাম এবং ২০ টি মৌজা আছে।
ভাষা ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]ইউনিয়নবাসী সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন।
প্রশাসনিক অবকাঠামো
[সম্পাদনা]৯ টি ওয়ার্ড এবং ৪৩ টি মহল্লা নিয়ে এ উমরপুর ইউনিয়ন গঠিত। এ ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন সাধারণ আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৩ জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। মাননীয় মেয়র ও সম্মানিত কাউন্সিলরগণ জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
ওয়ার্ড নং | অন্তর্ভুক্ত গ্রাম/মহল্লার নাম |
---|---|
০১ | লামা হিজলশাহ, হিজলশাহ, উমরপুর, উমরপুর বাজার, শাহজাহানপুর, বাদে খুজগীপুর, মাটিয়াখাড়া, অদিত্যপুর, কামালপুর, শিবপুর |
০২ | নিজ মান্দারুকা, তাজপুর, পূর্ব মান্দারুকা, পরাগলপুর, মজিদপুর |
০৩ | দিলালপুর, ইটাচকি, চৌদ্দকিয়ারী, কালিয়া, একানিধা, খাদিমপুর |
০৪ | সৈয়দপুর, মাধবপুর, মজলিশপুর |
০৫ | কটালপুর, হাবসপুর, চেবার পাড়া, বনগ্রাম, মোল্লাপাড়া, তাহিরপুর |
০৬ | আব্দুল্লাহপুর, সারুপাড়া, পশ্চিম গাঁও, মাইজ গাঁও, ভরাউট, পূর্ব গাঁও, রংবরণ, হামতনপুর |
০৭ | লামা ইশবপুর, খুজগীপুর |
০৮ | বড় ইশবপুর |
০৯ | মাটিহানী, হাউসপুর |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)"। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০০৭।
- ↑ মহম্মদ আজহারউদ্দীন সিদ্দীকী (১৯৭৭)। শ্রীহট্টে ইসলাম জ্যোতিঃ। বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। পৃষ্ঠা ৭৬।
- ↑ মহম্মদ আজরফ (১৯৯৫)। সিলেটে ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৬৯। আইএসবিএন 9789840601844।
- ↑ "দর্শনীয় স্থান" [Sightseeing]। Umarpur Union। ৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২২।