বিষয়বস্তুতে চলুন

আবু লাহাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু লাহাব
Abū Lahab
أبو لهب
কুরাইশ গোত্রের প্রধান
পূর্বসূরিআবু তালিব ইবন আবদুল মুত্তালিব
উত্তরসূরিআবু সুফিয়ান ইবন হারব
জন্মআবদুল উজ্জা ইবন আবদুল মুত্তালিব
আনু. ৫৪৯
মক্কা, আরব
(বর্তমান সৌদি আরব)
মৃত্যুআনু. ৬২৪(624-00-00) (বয়স ৭৪–৭৫)
মক্কা, আরব
(বর্তমান সৌদি আরব)
দাম্পত্য সঙ্গীউম্মে জামিল বিনতে হারব
বংশধরউতাইবা ইবন আবু লাহাব
উতবা ইবন আবি লাহাব
মুতাইব ইবন আবু লাহাব
দুররাহ বিনতে আবু লাহাব
উজ্জা বিনতে আবু লাহাব
খালিদা বিনতে আবি লাহাব
পিতাআবদুল মুত্তালিব
মাতালুবনা বিনতে হাজার

আব্দুল উজ্জাই ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম যিনি আবু লাহাব নামে পরিচিত ছিলেন। জন্মের সময় তার রক্তবর্ণ গাল ও সুন্দর মুখয়বয়ব দেখে তার বাবা তার নাম দিয়েছিলেন আবু লাহাব বা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের বাবা। তিনি মুহাম্মদের আপন চাচা ছিলেন।[] মুহাম্মদের জন্মের পর থেকেই চাচা আবু লাহাবের প্রিয়পাত্র ছিলেন। কিন্তু নবুয়াত প্রকাশ করার পর থেকেই তিনি মুহাম্মাদের বিরূদ্ধে চলে যান। সাফা পাহাড়ের উপর থেকে নবী মুহাম্মদের যখন সমবেত লোকজনকে এক আল্লাহর ইবাদত করার আহবান জানিয়েছিলেন তখন সেখানে আবু লাহাব তাকে সবার আগে তিরস্কার ও ভৎসনা করেছিলেন। ইসলাম ধর্ম ও মুহাম্মদের বিরোধিতার কারণে তিনি ইসলামের শত্রু পরিগণিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী উম্মে জামিল নবী মুহাম্মদ চলার পথে কাটা বিছিয়ে রাখতেন। পরবর্তীতে অবতীর্ণ সূরা লাহাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ও স্ত্রীর দুর্ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিবরণী প্রদান করা হয়।

পরিবার

[সম্পাদনা]

তিনি মক্কায় ৫৬৩ খ্রী: আব্দুল মুত্তালিব এর সন্তান, হাশিম বংশ প্রধান এবং লুবনা বিনতে হাজর এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[] যারা ছিলেন খুজা উপজাতির।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

আবু লাহাব বদর যুদ্ধের প্রাককালে গোশতের পঁচন রোগে আক্রান্ত হন। একটি দীর্ঘ সময় ধরে অসহনীয় কষ্ট ভোগ করার পর তিনি মারা যান। তার পরিবার তাকে ফেলে চলে যায়। তিন দিন পর্যন্ত লাশ পড়ে থাকে। অবশেষে পচন ধরলে একজন হাবশী মজদুরকে ডেকে আনা হয়। সে মক্কা নগরীর বাইরে একটি গর্ত খনন করে লাঠি দিয়ে ঠেলে লাশটিকে উক্ত গর্তে ফেলে দেয় এবং উপরে পাথর চাপা দেয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. سيرة محمد للدكتور راغب السرجاني
  2. Ibn Hisham note 97. Translated by Guillaume, A. (1955). The Life of Muhammad p. 707. Oxford: Oxford University Press.
  3. 19.6/ Muhammad ibn Saad, Tabaqat vol. 1 part 1:19:6.