হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস
![]() হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস বইয়ের প্রচ্ছদ | |
লেখক | নূর মুহাম্মদ আজমী |
---|---|
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | হাদিসের ইতিহাস |
ধরন | হাদিস |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট, পিডিএফ |
হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস হাদিসের ইতিহাস সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। তবে বইটিতে বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রভাব বিস্তার ও প্রসার। বাংলাদেশের আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস এসব বিষয়ও সবিস্তারে বর্ণনা করা আছে। বইটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি কলেজসমূহের স্নাতক শ্রেণীতে পড়ানো হয়।[১] এছাড়াও বইটি এদেশের ইসলামি গবেষণার ক্ষেত্রে প্রামাণ্য দলিল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বইটি লিখেছেন ফেনী আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ, মিশকাত শরীফের বাংলা অনুবাদক মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজমী।[২]
বই পরিচিতি
[সম্পাদনা]নূর মুহাম্মদ আজমী ১৯৬৫ সালে বইটি লিখেন। ২০০৮ সালের মার্চ মাসে এমদাদিয়া পুস্তকালয় বইটির ২য় মুদ্রণ বের করে। বইটি লিখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাবিদগনের নিকট থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বইটি লিখতে ৫৪টি বই থেকে তথ্যসূত্র নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]বইটি মূলত ২টি খণ্ড একত্রিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ের ১ম খণ্ডে ৪টি অধ্যায় ও ২য় খণ্ডে ২টি অধ্যায় রয়েছে। দুই খণ্ডের এই বইতে উপমহাদেশের আলেমদের হাদিস চর্চা, হাদিসের মৌলিক বিষয়বস্তু, উপমহাদেশের হাদিসের শিক্ষা ব্যবস্থা। আলিয়া ও কওমি আলেমদের হাদিস নিয়ে গবেষণা ও কার্যক্রম প্রভৃতি বিষয়ও আলোচনা হয়েছে।[৩]
১ম খণ্ড
[সম্পাদনা]১ম খণ্ডের ৪টি অধ্যায়ের মধ্যে ১ম অধ্যায়ে হাদিসের সংজ্ঞা, হাদিসের প্রকারভেদ, হাদিসের সংখ্যা, সাহাবাদের সংখ্যা, বিশিষ্ট কিছু হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ২য় অধ্যায়ে শরিয়তে সুন্নাহের অবস্থান, সুন্নাহ সম্পর্কে ইমামগণের ধারণা, একজন রাসুলের দায়িত্ব প্রভৃতি বিষয় আলোচনা হয়েছে। ৩য় অধ্যায়ে সাহাবাদের হাদিস সংকলন, সাহাবাদের হাদিসের প্রচারণা চালানো, সাহাবাদের হাদিসের অনুসরণ এই সমস্ত বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ৪র্থ অধ্যায়ে জাল হাদিস ও জাল হাদিস চিনার উপায় বা জাল হাদিস থেকে পরিত্রাণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।[৪]
২য় খণ্ড
[সম্পাদনা]বইটির ২য় খণ্ডে ২টি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে ৭টি স্তরে রয়েছে, আর ২য় অধ্যায় মূলত উপসংহার মূলক বক্তব্য। প্রথম অধ্যায়ে উপমহাদেশে হাদিস চর্চা, হাদিসের আগমন, ও এই অঞ্চলের আলেমদের ইসলাম ও হাদিস চর্চা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে মূলত ইসলামের ইতিহাস ব্যপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে।[৪]
শিক্ষাবিদদের মন্তব্য
[সম্পাদনা]বইটি পড়ে অনেক গুণী ব্যক্তি বিভিন্ন প্রশংসামূলক মন্তব্য করেছেন, সেগুলোর মধ্যে দুইটি মন্তব্য দেখুন:
বইটি পড়ে মুহাম্মাদ শহিদুল্লাহ বলেছেন,[৪]
“ | মাওলানা নুর মুহাম্মদ আজমী সাহেব একজন সুপ্রসিদ্ধ মুহাক্কি আলিম। তাহার রচিত ‘হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস’ বহু অধ্যয়ন ও গবেষণার সুফল। ইহাতে হাদীছের তত্ত্ব এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় হইতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে হাদিসের ইতিহাস বিবৃত হইয়াছে। | ” |
বইটি পুরোপুরি পড়ে শামসুল হক ফরিদপুরী বলেছেন,
“ | মাওলানা নুর মোহাম্মদ আ’জমী ছাহেব তাহার মেশকাত-অনুবাদের ভূমিকায় ‘হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস’ নামে হাদিস সম্পর্কে উম্মতে মোহাম্মদীর এ সকল তৎপরতারই বিশদ আলোচনা করিয়াছেন। অতঃপর তিনি মূল কিতাবের বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা করিয়াছেন। ব্যাখ্যায় তিনি দৃঢ়তার সহিত মোতাকাদ্দেমীনদের মতেরই অনুসরণ করিয়াছেন। আমার মতে বাংলা ভাষায় মেশকাত শরীফের সুষ্ঠু ও নির্ভরযোগ্য অনুবাদ ইহাই প্রথম। আর ‘হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস’-এর ন্যায় একটি মূল্যবান কিতাব বাংলা ভাষায় কেন উর্দু প্রভৃতি ভাষায় লেখা হইয়াছে বলিয়াও আমার জানা নাই! সত্যই ইতা বাংলা সাহিত্যের একটি অবদান। প্রকাশক সাহেবের নিকট আমার অনুরোধ, তিনি যেন ইহার উর্দু অনুবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। | ” |
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- পাঠাগার ওয়েবসাইটে হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল্যের ৩য় বর্ষের সিলেবাস" (পিডিএফ)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ Tajul, Islam। "আলিয়া মাদরাসার অজানা ইতিহাস (১ম পর্ব)"। Komashisha। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩।
- ↑ "হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস - মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী রহ."। www.rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩।
- ↑ ক খ গ "প্রাথমিক কথা| হাদীসের তত্ত্ব ও ইতিহাস | পাঠাগার"। www.pathagar.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩।