বের্নাদেত সুবিরু
বের্নাদেত | |
---|---|
![]() আনুমানিক ১৮৫৮ সালের বের্নাদেত | |
কুমারী | |
জন্ম | বের্নাদেত সুবিরু ৭ জানুয়ারি ১৮৪৪ লুর্দ, ওত-পিরেনে, ফ্রান্স রাজ্য |
মৃত্যু | ১৬ এপ্রিল ১৮৭৯ ন্যভের, নিয়েভ্র, ফ্রান্স | (বয়স ৩৫)
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ক্যাথলিক মণ্ডলী |
স্বর্গসুখ লাভ | ১৪ জুন ১৯২৫[১], রোম , পোপ একাদশ পিও[১] কর্তৃক |
সিদ্ধ ঘোষণা | ৮ ডিসেম্বর ১৯৩৩[১], রোম[১] , পোপ একাদশ পিও[১] কর্তৃক |
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান | সন্ত গিলদার (ইস্পেস বের্নাদেত সুবিরু ন্যভের), ন্যভের |
উৎসব |
|
বের্নাদেত সুবিরু (/ˌbɜːrnəˈdɛt
যাজকীয় তদন্তের পর ১৮৬২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি সুবিরুর কথা "বিশ্বাসযোগ্য" বলে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং মেরির উপস্থিতি নোত্র দাম দ্য লুর্দ নামে পরিচিত হয়। ১৮৬৬ সালে সুবিরু ন্যভেরের যাজকালয়ে সিস্টার্স অব চ্যারিটিতে যোগদান করেন এবং সেখানে তিনি তার জীবনের শেষ দিনগুলো কাটান। ক্যাথলিক মণ্ডলী তার মরদেহকে অভ্যন্তরীণভাবে অকার্যকর করে রাখতে বলে।[২] যে গুহায় মেরির উপস্থিতির ঘটনা ঘটেছিল তা গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ স্থান ও মেরির উপসনালয় হয়ে ওঠে। এটি নোত্র দাম দ্য লুর্দের পবিত্র স্থান নামে পরিচিতি লাভ করে এবং সকল সম্প্রদায় থেকে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ মিলিয়ন তীর্থযাত্রী এখানে তীর্থে যায়।
পোপ একাদশ পিও ১৯২৫ সালের ১৪ই জুন তাকে আশীর্বাদধন্য করেন এবং ১৯৩৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর তাকে সন্ত ঘোষণা করেন। তার উৎসবের দিন প্রথমে ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাখা হয়েছিল, যেদিন মেরি তাকে এই জীবন নয়, বরং পরবর্তী জীবনের জন্য আশীর্বাদ দিয়েছিলেন; বর্তমানে অধিকাংশ স্থানে তার মৃত্যুর দিন তথা ১৬ই এপ্রিল এই উৎসব পালন করা হয়।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]সুবিরু ১৮৪৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ফ্রান্সের ওত-পিরেনে দেপার্তমঁর লুর্দে জন্মগ্রহণ করেন[৪] তার পিতা ফ্রঁসোয়া সুবিরু (১৮০৭-১৮৭১) একজন মিলের শ্রমিক ছিলেন এবং মাতা লুইস (কুমারী নাম: কাস্তেরো; ১৮২৫-১৮৬৬) মিলের শ্রমিকের কন্যা ছিলেন।[৫] বের্নাদেত তার পিতামাতার নয় সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার বাকি ভাইবোনেরা হলেন জঁ (জন্ম ও মৃত্যু ১৮৪৫), ম্যারি, তোয়েনেত নামে পরিচিত (১৮৪৬-১৮৯২), জিন-মারি (১৮৪৮-১৮৫১), জিন-মারি (১৮৫১-১৯১৯), জ্যুস্তাঁ (১৮৫৫-১৮৬৫), পিয়ের (১৮৫৯-১৯৩১), জঁ (জন্ম ও মৃত্যু ১৮৬৪) এবং লুইস (১৮৬৬-এ জন্মের পরপরই মারা যায়)।
১৮৪৪ সালের ৯ই জানুয়ারি তার পিতামাতার বিবাহবার্ষিকীতে সেন্ট পিয়েরে একটি স্থানীয় যাজকীয় গির্জায় তার বাপ্তিষ্ম হয়। তার ধর্মমাতা ছিলেন তার মায়ের বোন বের্নার্দ কাস্তেরো। বের্নার্দ মাঝারিমানের ধনী বিধবা ছিলেন এবং তার একটি সরাইখানা ছিল। ফ্রান্সে কঠিন সময় আসে এবং পরিবারটি চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করে। সুবিরু শৈশবে খুবই অসুস্থ ছিলেন এবং হয়ত এই কারণে মাত্র ১.৪ মিটার (৪ ফুট ৭ ইঞ্চি) লম্বা ছিলেন। শিশুকালে তিনি কলেরায় আক্তান্ত হন এবং বাকি জীবন হাঁপানিতে ভুগেন। সুবিরু ন্যভেরের সিস্টার্স অব চ্যারিটি ও ক্রিশ্চিয়ান ইনস্ট্রাকশনের পরিচালিত দিবাকালীন বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেন।[৬] হলিউডের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়া বিশ্বাসের বিপরীতে সুবিরু খুবই অল্প ফরাসি ভাষা শিখেছিলেন, এবং ১৩ বছরের পর বিদ্যালয়ে ফরাসি অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি প্রায়ই অসুস্থতার কারণে খুব অল্প পড়তে ও লিখতে পারতেন। তিনি সেই সময় পিরেনে অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের ব্যবহৃত অক্সিতঁ ভাষায় কথা বলতেন।
ছায়ামূর্তি দর্শন
[সম্পাদনা]
গুহায় ছায়ামূর্তি দর্শনের সময় সুবিরু পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তারা ল্য কাশো ("দ্য ডাঞ্জেন") নামে পরিচিত একটি পরিত্যক্ত কারাগারে এক কক্ষের বেজমেন্টে বাস করত। সেখানে তার মায়ের আত্মীয় অঁদ্রে সাজোর আশ্রয়ে বিনামূল্যে থাকতেন।[৭]
১৮৫৮ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৪ বছর বয়সী সুবিরু তার বোন তোয়ানেত ও এক বন্ধুর সাথে মাসাবিয়েল গুহার নিকটে রান্নার জন্য কাঠ কুড়াচ্ছিলেন, তখন তিনি প্রথম দর্শন লাভ করেন। অন্যান্য মেয়েরা যখন গুহার সম্মুখে সরু জলাশয় পাড় হচ্ছিল, সুবিরু পিছনে রয়ে যান এবং এমন জায়গা খুঁজছিলেন যেখান দিয়ে পাড় হলে তার মোজা ভিজবে না। তিনি জলাশয়টি পাড় হওয়ার জন্য বসে তার জুতা ও মোজা খোলছিলেন, তখন তিনি বাতাসের তীব্র শব্দ শুনতে পান, কিন্তু কিছুই নড়াচড়া করতে দেখেননি। তবে গুহার প্রাকৃতিক কুলুঙ্গিতে একটি বন্য গোলাপের গাছ নড়াচড়া করে। কুলুঙ্গি থেকে কিংবা তারও ভেতরের কোন অন্ধকার ছায়াকুঞ্জ থেকে উজ্জ্বল আলো ও সাদা অবয়ব আসে। এটি তার ১৮টি স্বপ্নযোগের প্রথম দর্শন, যাকে তিনি আকেরো ([ake'ɾɔ]) বা "এটি" বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তী বিবৃতিতে তিনি একে উও পেতিতো দামিজেলো ("ছোট যুবতী নারী") বলে অভিহিত করেন। তার বোন ও বন্ধু বলেন তারা কিছু দেখেননি।[৮]
১৪ই ফেব্রুয়ারি সানডে মাসের পর সুবিরু তার বোন মারি ও আরও কিছু মেয়ে গুহায় যান। সুবিরু পুনরায় ছায়ামূর্তিটি দেখতে পেয়েছেন বলে নতজানু হন। অন্য মেয়েরা কুলুঙ্গিতে পবিত্র জল ছিটিয়ে দেয় এবং একজন সেখানে পাথর ছুড়ে মারলে তা ভেঙ্গে পড়ে এবং ছায়ামূর্তিটি গায়েব হয়ে যায়।[৯] ১৮ই ফেব্রুয়ারি পরের বার সেখানে গেলে সুবিরু বলেন ছায়ামূর্তিটি তাকে প্রতি পক্ষে একবার গুহায় যেতে বলেছেন।[১০]
প্রায় প্রতিদিনের এই দর্শনের সময় লা ক্যুঁজেন সাক্রে বা "পবিত্র পক্ষ" নামে পরিচিত। শুরুতে সুবিরুর পিতামাতা, বিশেষ করে তার মাতা, খুবই লজ্জিত হয় এবং তাকে সেখানে যেতে মানা করার চেষ্টা করে। তার সতেরতম দর্শন পর্যন্ত এই ছায়ামূর্তি নিজের পরিচয় দেয়নি। যদিও লোকজন ধারণা করেছিল সুবিরু সত্য বলছেন এবং তিনি কুমারী মেরিকে দেখেছেন, কিন্তু সুবিরু কখনই তাকে মেরি বলে দাবী করেননি বরং তিনি সবসময় ছায়ামূর্তিটিকে বর্ণনা করতে আকেরো বা "এটি" শব্দ ব্যবহার করতেন। তার বর্ণনা অনুসারে নারীটি সাদা ওড়না, নীল কোমরবন্ধনী এবং উভয় পায়ে হলুদ গোলাপ পরিহিতা, যা গ্রামের গির্জায় কুমারী মেরির যে কোন মূর্তির বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।[১১]
সুবিরুর গল্প শহরের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। তিনি সত্য বলছেন নাকি মিথ্যা বলছেন এই নিয়ে তারা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। কিছু মানুষ মনে করেন তার মানসিক সমস্যা রয়েছে এবং তাকে পাগলাগারদে রাখার দাবী করেন।[১২]
সুবিরুর ভাষ্য অনুসারে তার দর্শনের অন্য বিষয়বস্তু ছিল খুবই সরল এবং প্রার্থন ও তপস্যার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত। ২৫শে ফেব্রুয়ারি তার বিবৃতি দেন যে ছায়ামূর্তিটি তাকে তপস্যার অংশ হিসেবে "ঝর্ণার জল পান করতে, তা দিয়ে গোসল করতে এবং সেখানে জন্মানো গাছড়া খেতে বলেন।" সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে পরের দিন দেখা যায় গুহাটি আর কর্দমাক্ত নয় বরং সেখানে পরিষ্কার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।[১৩] ২রা মার্চ ত্রয়োদশ দর্শনে সুবিরু তার পরিবারকে জানান যে এই নারী বলেছে "একটি খ্রিস্টীয় ভজনালয় বা চ্যাপেল তৈরি করতে হবে ও শোভাযাত্রা বের করতে হবে।"[৬]
ষোড়শ দর্শন হয় ২৫শে মার্চ, সুবিরুর ভাষ্যমতে তা এক ঘণ্টার বেশি সময় হয়েছিল। তার ভাষ্যমতে এই দর্শনে তিনি নারীটিকে তার নাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধু হেসেছিলেন। তিনি আরও তিনবার এই প্রশ্ন করেন এবং পরিশেষে নারীটি গাস্কোন অক্সিতঁ ভাষায় বলেন কে সয় এরা ইম্মাকুলাদা কুঁস্যপসো (Que soy era immaculada councepciou) অর্থ্যাৎ "আমি নিষ্কলুষ গর্ভধারণকারী"।[৬] ক্যাথলিক গির্জা ও ফরাসি সরকারের কর্মকর্তাদের কর্তৃক কঠোরভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরও তিনি তার গল্পে অনড় থাকেন।[৬]
৭ই এপ্রিল সুবিরু আরেকবার দর্শন লাভ করেন। এই সময়ে কয়েক মিনিট ধরে মোমবাতির আগুনের সংস্পর্শে থাকার পর তার হাতে জ্বলেনি। ১৮৫৮ সালের ৮ই জুন লুর্দের নগরপাল গুহাটি অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং জনগণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে পাহারাদার নিয়োগ দেন। ১৬ই জুলাই সুবিরু নদীর অপর তীর থেকে গুহাটি দেখতে আসেন এবং তার অষ্টাদশ ও সর্বশেষ দর্শন লাভ করেন।[১৪]
দর্শনের বর্ণনা
[সম্পাদনা]পরবর্তীকালে পর্তুগালের ফাতিমায় ১৯১৭ সালের আবির্ভাবের ঘটনার[১৫] পর বের্নাদেত সুবিরুর এই সত্তার বর্ণনা ধীরে ধীরে আরও পরিচিত মেরির মূর্তিশিল্পের সাথে খাপ খেতে থাকে। দ্রষ্টার বর্ণনায় আবির্ভূত ছায়ামূর্তিটির অবয়ব ছোট, কিশোরী, যাকে দেখতে ১২ বছর বয়সী বাচ্চা, যিনি পরবর্তী সময়ে পনের বা এমনকি বিশ বছর বয়সীতে পরিণত হয়। জোসেফ ফাবিশের নির্মাণকৃত অনুমোদিত মূর্তিটিও এই আবির্ভূত ছায়ামূর্তির সৌন্দর্য ও যৌবন চিত্রিত করতে ব্যর্থ হয়। বের্নাদেত মূর্তিটিকে "অনেক বড়, অনেক বয়স্ক" বলে মন্তব্য করেন।[১৬]
শেষ জীবন
[সম্পাদনা]বের্নাদেত ন্যভেরের সিস্টার্স অব চ্যারিটি কর্তৃক পরিচালিত হস্পাইস স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে পড়তে ও লিখতে শিখেন। তিনি কার্মেলিতে ভর্তি হতে চাইলেও তার স্বাস্থ্যের কারণে তিনি কঠোর মননশীল অনুশাসনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি। ১৮৬৬ সালের ২৯শে জুলাই আরও ৪২ জন প্রার্থীসহ তিনি ন্যভেরের সেন্ট গিলদা কনভেন্টে সিস্টার্স অব চ্যারিটিতে যোগদান করেন। তার শিক্ষয়ত্রী ছিলেন সিস্টার মারি তেরেস ভোজু।[১৭] তার মাতৃস্থানীয় এই তত্ত্বাবধায়ক তার ধর্মমাতা "বের্নার্দ"-এর নামানুসারে তার নামকরণ করেন মারি-বের্নার্দ।[১২] প্যাট্রিশিয়া এ. ম্যাকইচার্নের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, "বের্নাদেত তার পৃষ্টপোষক সন্ত বের্নার্দের প্রতি অনুগত ছিলেন। তিনি বের্নার্দ সম্পর্কিত দীর্ঘ লেখনী নোটবুক ও কাগজে লিপিবদ্ধ করেন। 'সিস্টার মারি-বের্নার্দ' হওয়ার অভিজ্ঞতা বের্নাদেতের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় কারণ তিনি বুঝতে পারেন স্বর্গের রানীর নিকট থেকে পাওয়া অনুগ্রহ তার জন্য বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে।[১৮]
দুর্ভাগ্যবশত, সুবিরু শৈশবে কলেরা থেকে সুস্থ্য হলেও এই রোগ থেকে তার দীর্ঘস্থায়ী হাঁপানি রয়ে যায় এবং পরিশেষে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন।[১৮] তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে থেকে তিনি ধর্মচারী জীবনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। তিনি ১৮৭৯ সালের ১৬ই এপ্রিল (ইস্টার বুধবার)[১৭] মাত্র ৩৫ বছর বয়সে দীর্ঘ রোগে ভুগে পবিত্র জপমালা পড়তে পড়তে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুশয্যায় তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলেন এবং কুমারী মেরি উপদেশ "তপস্যা, তপস্যা, তপস্যা" করছিলেন। বের্নাদেত ঘোষণা দেন যে "এই সবকিছু স্বর্গের জন্য উত্তম!" তার শেষ কথা ছিল, "ধন্য মেরি, ঈশ্বরের মা, আমার জন্য প্রার্থনা করুন।" সুবিরুর মরদেহ সেন্ট জোসেফ চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়।
পোপের আখ্যা লাভ
[সম্পাদনা]পোপ একাদশ পিও ১৯২৫ সালের ১৪ই জুন তাকে আশীর্বাদধন্য বলে ঘোষণা করেন।[১২] ১৯৩৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর তাকে সন্ত ঘোষণা করেন।[১]
তার উৎসবের দিন প্রথমে ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাখা হয়েছিল,[১৯][২০] যেদিন মেরি তাকে এই জীবন নয়, বরং পরবর্তী জীবনের জন্য আশীর্বাদ দিয়েছিলেন।[২১] বর্তমানে ক্যাথলিক গির্জাসমূহে তার মৃত্যুর দিন তথা ১৬ই এপ্রিল এই উৎসব পালন করা হয়।[২২]
চিত্রায়ন
[সম্পাদনা]- ১৯৪১ সালে ফ্রানৎস ভেরফেল দ্য সং অব বের্নাদেত উপন্যাসে সুবিরুর জীবনের কাল্পনিক চিত্রায়ন দেখান।[২৩]
- ১৯৪৩ সালে পরিচালক হেনরি কিং ভেরফেলের উপন্যাসকে একই নামের চলচ্চিত্ররূপ প্রদান করেন। এতে বের্নাদেত চরিত্রে অভিনয় করে জেনিফার জোন্স শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[২৪]
- ১৯৮৮ সালে বের্নাদেত ও এর পরবর্তী পর্ব ১৯৯০ সালে লা পাসিওঁ দ্য বের্নাদেত নির্মিত হয়। দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন জঁ দ্যলানোয়া এবং নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সিডনি পেনি।[২৫]
- ২০০৯ সালে ট্রেভর জোন্স তিন অঙ্কবিশিষ্ট গীতিনাট্য বের্নাদেত রচনা করেন।[২৬] ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের গ্লুচেশারের এই গীতিনাট্যের প্রথম মঞ্চায়ন হয়।
- ২০২৩ সালে মাওয়াকির স্কাইলাইট মিউজিক থিয়েটারে ভেরফেলের উপন্যাস অবলম্বনে একটি সঙ্গীতনাট্যের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়।[২৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ রাগলস, রবিন (১৯৯৯)। Apparition shrines. Places of pilgrimage and prayer। বস্টন: পলিন বুকস অ্যান্ড মিডিয়া। পৃষ্ঠা ৬৮। আইএসবিএন 0-81984799-2।
- ↑ "The Body of Saint Bernadette"। ক্যাথলিক পিলগ্রিমস। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "St. Bernadette Soubirous of Lourdes"। ক্যাথলিক নিউজ এজেন্সি। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "UPI Almanac for Monday, Jan, 7, 2019"। ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল। ৭ জানুয়ারি ২০১৯। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৫।
Marie-Bernarde Soubirous, who became St. Bernadette and whose visions led to the foundation of the shrine at Lourdes, France, in 1844
- ↑ "Saint Bernadette Soubirous"। ফ্রঁসিস্কাঁ মিডিয়া। ১৬ এপ্রিল ২০১৬। ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ""Saint Bernadette Soubirous", Lives of Saints, John J. Crawley & Co., Inc."। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২৫।
- ↑ টেইলর (২০০৩), p. ৪২.
- ↑ টেইলর (২০০৩), pp. ৫৯–৬০.
- ↑ টেইলর (২০০৩), pp. ৬২–৬৩.
- ↑ টেইলর (২০০৩), pp. ৬৮–৬৯.
- ↑ টেইলর (২০০৩), p. ৮৪.
- ↑ ক খ গ "Biography of Bernadette Soubirous"। বায়োগ্রাফি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ Taylor (2003), pp. 88–90.
- ↑ হ্যারিস (১৯৯৯), p. ৮.
- ↑ Santuário de Fátima (২০১৩)। Documentação Crítica de Fátima: seleção de documentos (1917–1930) [Critical documentation of Fatima: selection of documents (1917-1930)] (পর্তুগিজ ভাষায়)। Santuário de Fátima। পৃষ্ঠা 30–33, 48, 53, 56, 67–69, 78–87, 102–103, 116–124, 164, 173, 178–179, 234–235, 534–535। আইএসবিএন 978-972-8213-91-6।
- ↑ হ্যারিস (১৯৯৯), pp. ৭২-৭৪.
- ↑ ক খ "Religious life"। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ ক খ ম্যাকইচার্ন, প্যাট্রিশিয়া এ. (২০০৫)। A Holy Life": The Writings of St. Bernadette। সান ফ্রান্সিস্কো: ইগনাশিয়াস প্রেস।
- ↑ "What are the relics?"। stbernadetteusa.org। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Sainte Bernadette Soubirous"। Nominis। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "18th February – Lourdes celebrates Saint Bernadette"। lourdes-france.com। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "St. Bernadette of Lourdes"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ ভেরফেল, ফ্রানৎস (১৫ আগস্ট ১৯৮৯)। The Song of Bernadette (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকমিলান। পৃষ্ঠা ৫৬৪–৫৬৬। আইএসবিএন 978-0-312-03429-0। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "The 16th Academy Awards | 1944"। অস্কারস (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। ৫ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "La passion de Bernadette"। সেন্সক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Bernadette (opera in three acts), Trevor Jones - Central Composers Alliance"। কম্পোজার্স অ্যালায়েন্স। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "The Song of Bernadette"। স্কাইলাইট মিউজিক থিয়েটার। ৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]

- The Body of Saint Bernadette – Includes reports of her exhumation and photographs of her body and tomb.
- Notes on the Investigation, including facsimile of notes taken during an interview with Bernadette
- Catholic Encyclopedia: Notre-Dame de Lourdes
- ওপেন লাইব্রেরিতে বের্নাদেত সুবিরু-এর সৃষ্টিকর্ম
- Sanctuary of Our Lady of Lourdes