বাংলাদেশ লেবার পার্টি
বাংলাদেশ লেবার পার্টি | |
---|---|
![]() | |
সংক্ষেপে | লেবার পার্টি |
চেয়ারম্যান | ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান |
মহাসচিব | খন্দকার মিরাজুল ইসলাম |
প্রতিষ্ঠা | ২২ অক্টোবর ১৯৭৭ |
সদর দপ্তর | ৮৫/১ নয়া পল্টন মসজিদ গলি (৩য় তলা), ঢাকা-১০০০ |
ছাত্র শাখা | বাংলাদেশ ছাত্র মিশন |
যুব শাখা | বাংলাদেশ যুব মিশন |
আইনজীবী শাখা | লেবার পার্টি আইনজীবী ফোরাম |
ভাবাদর্শ | বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ |
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্যপন্থি |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Red, Green, Yellow |
নির্বাচনী প্রতীক | |
কাঁচি | |
ওয়েবসাইট | |
www.labourpartybd.org | |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
বাংলাদেশ লেবার পার্টি (সংক্ষেপে লেবার পার্টি) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। দলটি ১৯৭৪ সালের ১৭ই আগস্ট মাওলানা মতিনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী ১৩ মিনিটের সংসদে রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করলে লেবার পার্টির কার্যক্রম স্থমিত হয়। ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন করলে ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ লেবার পার্টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।(মার্চ ২০২০) |
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম। ১৯৭৪ সালে মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে লেবার পার্টিও নিষিদ্ধ হয়। ১৯৭৭ সালে শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর মাওলানা আবদুল মতীন ও মাওলানা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে পুর্নজীবন ফিরে পায়। পরে শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ মে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হলে- মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ন্যাপ, শাহ আজিজুর রহমানের মুসলীম লীগ, বিচারপতি সাত্তারের জাগদল, মাওলানা মতীনের লেবার পার্টি, কাজী জাফরের ইউপিপি ও তফসিলি জাতি ফেডারেশন জোটের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই দলটি জাতীয়তাবাদী চেতনায় সমমনা দল হিসাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও অংশগ্রহণ করে আসছে। ২০১২ সালে ১৮ এর্পিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট (বর্তমানে ২০ দলীয় জোট) গঠিত হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি অন্যতম শরিকদল হিসাবে জোটের রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছিল।[১]

ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বচনে ১২৮, পিরোজপুর-২(ভান্ডারিয়া, কাউখালী, জিয়ানগর) আসনে বিএনপির নেতৃত্বে ধানের শীষ মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০২২ সালে বিশ দলীয় জোট বিলুপ্ত হলে দলটি বারো দলীয় জোটে শরীক হয়। বাংলাদেশ লেবার পার্টির বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথে শরিকদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে রাজপথে সক্রিয় রয়েছে।
জুলাই ছাত্র-গনঅভ্যুত্থান ২০২৪
[সম্পাদনা]২০২৪ সালে ১৮ জুলাই "মেধার মূল্যায়ন করে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের" দাবিতে ন্যায় সংগত ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার গনহত্যা চালায়। ছাত্র আন্দোলনের দাবী ক্রমশ দানা বাঁধতে থাকে ফ্যাসীবাদী সরকারের পতনের আন্দোলনে। ফ্যাসীবাদী সরকার উক্ত আন্দোলন ধূলিসাৎ করতে লেলিয়ে দেয় প্রশাসনের পুলিশ বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী দোসরদের। নির্যাতনের মাত্রা ছড়িয়ে যায় ছাত্রসহ সাধারণ জনগনের উপর। ছাত্রদের আন্দোলন রুপ নেয় গণআন্দোলনে।




ছাত্রদের দাবির সমর্থনে গনতান্ত্রিক আন্দোলনের বিএনপি, জামায়াত, লেবার পার্টিসহ সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সক্রিয় ভাবে আন্দোলনের কর্মসূচীতে অংশ নেয়। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে ২রা আগষ্ট ও ৩রা আগস্ট পুলিশের বাধা অতিক্রম করে লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে অংশ নেয়, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে রাখে আন্দোলনের মাঠ। ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্লকেডের সমর্থনে লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশনের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড় হতে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জনসমাবেশে যোগ দিয়েছে। লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশনের মহানগরের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় নেতা-কর্মীরা পুলিশ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সদস্য আউয়াল মিয়া ও ছাত্রমিশনের সক্রিয় সদস্য নাঈম হাওলাদার পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরন করেন। ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে কোটি জনতার বিজয় মিছিলে ছিল সর্বস্তরের জনগনের মিলন মেলা।
লেবার পার্টি ও খালেদা জিয়া
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ লেবার পার্টি দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আহবানে সাড়া দিয়ে ২০০৭ সালেই ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে চারদলীয় জোটের পাশাপাশি সমমনা শক্তি হিসাবে বিএনপির সাথে যুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট গঠিত হয়। লেবার পার্টি জোটের অন্যতম শরিক হিসাবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে অংশ গ্রহন করে। এই ১৮ দলীয় জোট ক্রমে ১৯ দলীয় জোট ও ২০ দলীয় জোটে রুপ নেয়। ১৮ দলীয় জোট ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদের সাথে বঙ্গভবনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ সদস্যদের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এতে বিএনপির ১২ জন ও শরিক দলের ৮ জন প্রতিনিধির মধ্যে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও অংশ গ্রহন করে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাকর্মীরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ন গ্রেফতার হয়েছে। বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও উপজেলা লেবার পার্টির নেতাকর্মীরা বাড়ীঘর, ব্যাবসা বানিজ্য থেকে মামলার কারনে পালিয়ে বেড়িয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া জেল জুলুমের শিকার লেবার পার্টির ১৫ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির আন্দোলন সংগ্রামের সম্মুখ সারিতে ভূমিকা পালন করায় বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ লেবার পার্টির বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের আমন্ত্রণে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া ২০১৬ ও সালেও বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগ ইফতার মাহফিলে তিনি অংশ গ্রহন করে লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশনের নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব ও সহকর্মী রাজনৈতিক শক্তির সাথে প্রানবন্ত ব্যাবহার ও মূল্যায়ন লেবার পার্টি আজীবন সম্মান জানাবে।



ছায়া সংগঠন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশ ছাত্র মিশন
- বাংলাদেশ যুব মিশন
- লেবার পার্টি আইনজীবী ফোরাম
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সোমবার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে লেবার পার্টি"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৮।