দিল্লির ইতিহাস
উত্তর ভারতের ঐতিহাসিক অঞ্চল দিল্লি | |||||||||
স্থান | দিল্লি | ||||||||
প্রতিষ্ঠাকাল: | ৭৩৬ খ্রিষ্টাব্দ | ||||||||
ভাষা | খড়ি বোলি, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবী, বাংলা, ইংরেজি | ||||||||
সাম্রাজ্য | তোমারা (৭৩৬-১১৬০)
শাহমহরীর চাহমানস (১১৬০-১২০৬) |
ভারতের রাজধানী দিল্লির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং অতীতে শহরটি বিভিন্ন সাম্রাজ্যগুলির রাজধানী হিসাবে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। দিল্লির প্রাচীন ইতিহাসের বেশিরভাগই কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং এটি ইতিহাসের একটি হারিয়ে যাওয়া সময় হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। দিল্লির বিস্তৃত ইতিহাস ১২ শতকের দিল্লির সুলতানাতের সূত্রপাতের সাথে শুরু হয়। তখন থেকে দিল্লি শক্তিশালী সাম্রাজ্য ও শক্তিশালী রাজ্যের উত্তরাধিকারের কেন্দ্রস্থল ছিল। দিল্লিকে দীর্ঘতম সময়ের জন্য রাজধানী শহর এবং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি।[১][২] এই শহরটিকে বারবার নির্মিত, ধ্বংস এবং পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেহেতু বাইরের শক্তিগুলি সফলভাবে ভারতীয় উপমহাদেশ আক্রমণ করেছিল এবং দিল্লির বিদ্যমান রাজধানী শহরকে ধ্বংস করে জয়লাভ করেছিল। কৌশলগত অবস্থানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এবং বসবাস করার জন্য তারা শহরটিকে তারা আবার পুনঃনির্মাণ করেছি।[৩][৪] দিল্লির মূল হিন্দু, ইসলামী (শহরটিতে ইসলামী শাসন সাত শতাব্দী ধরে বিস্তৃত) ঐতিহ্যের সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনকালে নির্মিত লতিয়েন্সের দিল্লিতে ব্রিটিশ স্থাপত্য রয়েছে।
দিল্লির উল্লেখযোগ্য প্রাগৈতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে আনন্দপুর (বদরপুর অঞ্চলে)। এছাড়াও হরপ্পা সভ্যতার সময়কার নরলা ও নন্দ নগরীর প্রত্নস্থান রয়েছে।[৫] প্রাচীন সাহিত্যে দিল্লীর ইতিহাসের উল্লেখগুলি করা হয়েছিল পৌরাণিক কাহিনী এবং কিংবদন্তি উপর ভিত্তি করে। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত অনুসারে ইন্দ্রপ্রস্থ ("ঈশ্বর ইন্দ্রের শহর") নামে একটি শহরে পণ্ডাবদের রাজধানী ছিল। একটি দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে প্রাচীন ইন্দ্রপ্রস্থের স্থান পুরাতন কেল্লা নির্মিত হয়েছিল। এই স্থানে খনন করে উত্তর-ভারতীয় কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্র (৭০০-২০০ খ্রিষ্টপূর্বে) এবং চিত্রিত ধূসর ধাতব টুকরা পাওয়া গেছে। এই পুরাতন দ্রব্যগুলির উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে দিল্লি এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপিত হয়েছিল ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।[৫]
১৯৬৬ সালে মৌর্য সম্রাট অশোক (২৭২-৩৩৬ খ্রিষ্টাপূর্বাব্দ) এর একটি শিলালিপি শ্রীনিবাসপুরীর কাছে আবিষ্কৃত হয়েছিল। ১৪ শতকে ফিরাজ শাহ তুঘলক কর্তৃক অশোকের নির্দেশাবলীর সাথে দুটি বেলেপাথরের স্তম্ভ আনা হয়েছিল। কুতুব মিনারের কাছে বিখ্যাত লৌহ স্তম্ভটি গুপ্ত রাজবংশের সম্রাট প্রথম কুমার গুপ্ত (১০২০-৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ) দ্বারা দশম শতাব্দীতে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ [১]
- ↑ List of cities by time of continuous habitation#Central and South Asia
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ [২]
- ↑ ক খ Singh, Upinder (২০০৬)। Delhi: Ancient History। Berghahn Books। আইএসবিএন 9788187358299।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Delhi (1938), a documentary by BFI archives
- "Scenes from Delhi (Silent film, 18:16 - 23.27)"। University of Pennsylvania Museum of Archaeology and Anthropology Films। c. 1930। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - Land and Acquisition Act of 1894, under which the new city of Delhi was acquired
- The agreement of construction of new city of Delhi with original signatures of Herbert Baker and Edwin Luteyns