চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগ | |
---|---|
বাংলাদেশের বিভাগ | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৫′ উত্তর ৯১°৩০′ পূর্ব / ২২.৯১৭° উত্তর ৯১.৫০০° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
প্রতিষ্ঠিত | ১৮২৯ |
সদরদপ্তর | চট্টগ্রাম |
সরকার | |
• শাসক | বাংলাদেশ সরকার |
• বিভাগীয় কমিশনার | মো: তোফায়েল ইসলাম [১] |
• সংসদীয় আসন | জাতীয় সংসদ (৫৮টি আসন) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪,৫২৯.৯৭ বর্গকিমি (১৩,৩৩২.১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২)[২] | |
• মোট | ৩,৩২,০২,৩২৬ |
• জনঘনত্ব | ৯৬০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+6) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | BD-B |
এইচডিআই (২০১৮) | 0.611[৩] medium |
উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া দল | চিটাগং কিংস, চট্টগ্রাম বিভাগ, চট্টগ্রাম আবাহনী, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি বিভাগ। বাংলাদেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে এটি বৃহত্তম বিভাগ। ৩৪,৫২৭.৯৭ কিমি২ (১৩,৩৩১.৩২ মা২)[৪] এলাকার এই বিভাগটি সিলেট ব্যতীত বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল (সিলেট ব্যতীত) গঠন করে। এর বিভাগীয় সদরদপ্তর চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের জিডিপি ১৯৩$ বিলিয়ন এবং জিডিপি পিপিপি ৩৮৪$ বিলিয়ন। চট্টগ্রাম বিভাগের অর্থনিতি কৃষি, শিল্প এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।
চট্টগ্রাম বিভাগে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার[৫][৬] এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮২৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলার পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদরদপ্তর ছিল চট্টগ্রাম জেলায়।[৭] ১৮৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের সিলেট জেলাকে বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সিলেট জেলাকে আসাম থেকে পৃথক করে পূর্ব বাংলার অন্তর্ভূক্ত করা হলে জেলাটি পুনরায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে আসে। পূর্ব পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ সালে এই বিভাগের ত্রিপুরা জেলার নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা জেলা করা হয়।
১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও সিলেট এই পাঁচটি বৃহত্তর জেলাকে ভেঙে ১৫টি নতুন জেলা গঠন করা হয়:
- বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলাকে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা
- বৃহত্তর কুমিল্লা জেলাকে তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর
- পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি
- বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী
- বৃহত্তর সিলেট জেলাকে চারটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ ।
সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলাকে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নবগঠিত সিলেট বিভাগের অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
প্রশাসনিক বিভাজন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম বিভাগ বর্তমানে ১১টি জেলায় এবং ৯৯টি উপজেলায় বিভক্ত। নিচের তালিকাভুক্ত প্রথম ছয়টি জেলা বিভাগের উত্তর-পশ্চিম অংশ (৩৭.৬%) নিয়ে গঠিত, বাকি পাঁচটি অংশ দক্ষিণ-পূর্ব অংশ (৬২.৪%) নিয়ে গঠিত। এই দুটি অংশ ফেনী নদী দ্বারা বিভক্ত। উত্তর-পশ্চিম অংশটি নিয়ে প্রস্তাবিত মেঘনা বিভাগ বা কুমিল্লা বিভাগ গঠনের কথা রয়েছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এই তিনটি পাহাড়ি জেলা সরকারিভাবে "পার্বত্য জেলা"র স্বীকৃতি-প্রাপ্ত। এই এলাকাগুলো নিয়ে গঠিত পূর্বতন বৃহত্তর জেলাটি পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত ছিল।
নাম | সদর | এলাকা (কিমি২) | জনসংখ্যা ১৯৯১ সালের আদমশুমারি |
জনসংখ্যা ২০০১ এর আদমশুমারি |
জনসংখ্যা ২০১১ এর আদমশুমারি |
জনসংখ্যা ২০২২ এর আদমশুমারি |
---|---|---|---|---|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ১,৮৮১.২০ | ২১,৪১,৭৪৫ | ২৩,৯৮,২৫৪ | ২৮,৪০,৪৯৮ | ৩,৩০৬,৫৫৯ |
কুমিল্লা জেলা | কুমিল্লা | ৩,১৪৬.৩০ | ৪০,৩২,৬৬৬ | ৪৫,৯৫,৫৩৯ | ৫৩,৮৭,২৮৮ | ৬,২১২,২১৬ |
চাঁদপুর জেলা | চাঁদপুর | ১,৬৪৫.৩২ | ২০,৩২,৪৪৯ | ২২,৭১,২২৯ | ২৪,১৬,০১৮ | ২,৬৩৫,৭৪৮ |
লক্ষ্মীপুর জেলা | লক্ষ্মীপুর | ১,৪৪০.৩৯ | ১৩,১২,৩৩৭ | ১৪,৮৯,৯০১ | ১৭,২৯,১৮৮ | ১,৯৩৮,১১১ |
নোয়াখালী জেলা | মাইজদী | ৩,৬৮৫.৮৭ | ২২,১৭,১৩৪ | ২৫,৭৭,২৪৪ | ৩১,০৮,০৮৩ | ৩,৬২৫,২৫২ |
ফেনী জেলা | ফেনী | ৯৯০.৩৬ | ১০,৯৬,৭৪৫ | ১২,৪০,৩৮৪ | ১৪,৩৭,৩৭১ | ১,৬৪৮,৮৯৬ |
খাগড়াছড়ি জেলা | খাগড়াছড়ি | ২,৭৪৯.১৬ | ৩,৪২,৪৮৮ | ৫,২৫,৬৬৪ | ৬,১৩,৯১৭ | ৭১৪,১১৯ |
রাঙ্গামাটি জেলা | রাঙ্গামাটি | ৬,১১৬.১১ | ৪,০১,৩৮৮ | ৫,০৮,১৮২ | ৫,৯৫,৯৭৯ | ৬৪৭,৫৮৭ |
বান্দরবান জেলা | বান্দরবান | ৪,৪৭৯.০১ | ২,৩০,৫৬৯ | ২,৯৮,১২০ | ৩,৮৮,৩৩৫ | ৪,৮১,১০৯ |
চট্টগ্রাম জেলা | চট্টগ্রাম | ৫,২৮২.৯২ | ৫২,৯৬,১২৭ | ৬৬,১২,১৪০ | ৭৬,১৬,৩৫২ | ১,৭৫,৫৭,৪৪০ |
কক্সবাজার জেলা | কক্সবাজার | ২,৪৯১.৮৫ | ১৪,১৯,২৬০ | ১৭,৭৩,৭০৯ | ২২,৮৯,৯৯০ | ২৮,২৩,২৬৫ |
মোট জেলা | ১১ | ৩৪,৫২৯.৯৭ | ২,০৫,৫২,৯০৮ | ২,৪২,৯০,৩৮৪ | ২,৮৪,২৩,০১৯ |
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০২২ সালের আদমশুমারির সময়, বিভাগের জনসংখ্যা ছিল ৩৩,২০২,৩২৬ জন। তাদের মধ্যে ৯০.১১% মুসলমান, ৬.৬১% হিন্দু, ২.৯২% বৌদ্ধ, ০.২২% খ্রিস্টান এবং ০.১৪% সর্বপ্রাণবাদী ।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]সূত্র
[সম্পাদনা]১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জনসংখ্যা শুমারি উইং থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান প্রাথমিক ফলাফলের উপর ভিত্তি করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "List of Divisional Commissioners"। ১৮ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;prelim
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৮।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Ethirajan, Anbarasan (২৬ ডিসেম্বর ২০১২)। "Bangladesh's Cox's Bazar: A paradise being lost?"। BBC World। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ The Europa World Year Book 2003। Taylor & Francis। ২০০৩। পৃষ্ঠা 679। আইএসবিএন 978-1-85743-227-5।
- ↑ Webster, John Edward (১৯১১)। "History: Divisional Commissioners"। Eastern Bengal and Assam District Gazetteers। The Pioneer Press। পৃষ্ঠা 26।
- ↑ https://bbs.portal.gov.bd/site/page/b432a7e5-8b4d-4dac-a76c-a9be4e85828c